ইশরাক সমর্থকদের নগরভবনে অবস্থান ও মেয়র পদে শপথের দাবি




১ জুন ২০২৫, ঢাকা: ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) নগরভবনের সামনে বিএনপি নেতা ইশরাক হোসেনের সমর্থকরা আজ রোববার সকাল সাড়ে ১০টা থেকে অবস্থান কর্মসূচি পালন করছেন। তারা ইশরাক হোসেনকে অবিলম্বে মেয়র হিসেবে শপথ প্রদানের দাবি জানিয়েছেন এবং স্থানীয় সরকার বিভাগের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়ার পদত্যাগের দাবিতে স্লোগান দিয়েছেন।

কদমতলী ৫২ নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি রবিউল আলম দিপুর নেতৃত্বে শতাধিক নেতাকর্মী এই আন্দোলনে অংশ নিয়েছেন। রবিউল আলম বলেন, “ইশরাক হোসেন জনতার মেয়র। সরকার তার শপথ নিয়ে টালবাহানা করছে এবং আদালতের রায় অমান্য করছে। আমরা শুরু থেকে এই আন্দোলনের সঙ্গে আছি এবং জনতার মেয়রের শপথ না হওয়া পর্যন্ত রাজপথ ছাড়ব না।”

আন্দোলনের পটভূমি

২০২০ সালের ১ ফেব্রুয়ারি ডিএসসিসি নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী শেখ ফজলে নূর তাপস বিজয়ী ঘোষিত হন। ইশরাক হোসেন নির্বাচনে অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ তুলে ৩ মার্চ ২০২০-এ ফলাফল বাতিলের জন্য মামলা করেন। ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর সব সিটি করপোরেশনের মেয়রদের অপসারণ করা হয়। এরপর ২৭ মার্চ ২০২৫-এ ঢাকার প্রথম যুগ্ম জেলা জজ ও নির্বাচনী ট্রাইব্যুনাল তাপসের বিজয় বাতিল করে ইশরাককে মেয়র ঘোষণা করেন। নির্বাচন কমিশন (ইসি) ২৭ এপ্রিল গেজেট প্রকাশ করে ইশরাককে মেয়র ঘোষণা করে।

আইনি জটিলতা

ইশরাকের শপথ নিয়ে আইনি জটিলতা অব্যাহত রয়েছে। ১৪ মে ২০২৫-এ ডিএসসিসির একজন বাসিন্দা ও সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মো. মামুনুর রশিদ শপথ না দেওয়ার নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে রিট দায়ের করেন, যা ২২ মে খারিজ হয়। ২৯ মে আপিল বিভাগ জানায়, শপথের বিষয়ে নির্বাচন কমিশন সাংবিধানিকভাবে সিদ্ধান্ত নিতে পারবে।

নগরভবনে অচলাবস্থা

ইশরাক সমর্থকদের অবস্থান কর্মসূচির কারণে ১৪ মে থেকে নগরভবনে স্থানীয় সরকার বিভাগের কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। এতে নগরবাসী জরুরি সেবা পেতে ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন। উদাহরণস্বরূপ, বংশালের বাসিন্দা সুমন হাসান জন্মনিবন্ধন সংশোধনের জন্য এসে অফিস বন্ধ পেয়েছেন।

সামাজিক মাধ্যমে বিতর্ক

ইশরাক হোসেন ও স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া সামাজিক মাধ্যমে পাল্টাপাল্টি পোস্ট দিয়েছেন। আসিফ মাহমুদ অভিযোগ করেছেন, ইশরাক সমর্থকরা “যথাযথ প্রক্রিয়া অনুসরণ না করে” আন্দোলন চালাচ্ছেন। ইশরাক জবাবে দাবি করেছেন, অন্তর্বর্তী সরকারের একাংশে “ক্ষমতার লোভ” জন্ম নিয়েছে।

জনমত ও সমাধানের আহ্বান

নগরবাসী এই অচলাবস্থার দ্রুত সমাধান চান, যাতে জরুরি সেবা পুনরায় চালু হয়। ইশরাক সমর্থকরা তাদের আন্দোলন অব্যাহত রাখার ঘোষণা দিয়েছেন, যতক্ষণ না তাদের দাবি পূরণ হয়।

এই পরিস্থিতি নগরবাসীর জন্য সেবা বিঘ্নিত করছে এবং আইনি ও রাজনৈতিক জটিলতার সমাধানের জন্য নির্বাচন কমিশনের সিদ্ধান্ত গুরুত্বপূর্ণ।

আওয়ামী লীগের ঝটিকা মিছিল সংক্রান্ত



আওয়ামী লীগের ঝটিকা মিছিল ঢাকায়
ঢাকার খিলক্ষেতে আজ (৩১/০৫/২০২৫) সন্ধ্যা ৬:৩০-৭:০০ পর্যন্ত আওয়ামী লীগের ১০-১৫ জনের একটি ঝটিকা মিছিল অনুষ্ঠিত হয়। পুলিশের গ্রেপ্তারের ভয়ে তারা দ্রুত এলাকা ত্যাগ করে।

ভারী বৃষ্টির প্রভাব এদিন দিল্লির মোতি বাগ, মিন্টো রোড, এবং দিল্লি বিমানবন্দরের টার্মিনাল ১ সংলগ্ন এলাকায় ব্যাপক জলাবদ্ধতা দেখা দেয়। এছাড়া বিভিন্ন রাস্তায় গাছ উপড়ে পড়ার ফলে যান চলাচল একপ্রকার অচল হয়ে পড়ে। যানজটের কারণে হাজারো মানুষ কর্মস্থলে পৌঁছাতে ব্যর্থ হন।

ভারতে রাজধানী দিল্লি ও পার্শ্ববর্তী এলাকায় ব্যাপক বৃষ্টিপাতের ফলে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। রোববার (২৫ মে) ভোর থেকে শুরু হওয়া প্রবল বৃষ্টিতে শহরের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ রাস্তা পানিতে ডুবে যায়, সৃষ্টি হয় ভয়াবহ জলজট। এর ফলে যান চলাচলে মারাত্মক ব্যাঘাত ঘটছে, সাধারণ নাগরিকদের ভোগান্তি চরমে পৌঁছেছে।


ভারতের আবহাওয়া বিভাগ জানিয়েছে, দিল্লির বিভিন্ন স্থানে সর্বোচ্চ ৮১ মিলিমিটার পর্যন্ত বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। অতিবৃষ্টির ফলে বহু যানবাহন রাস্তায় আটকা পড়েছে, অনেকে গাড়ি ফেলে হাঁটতে বাধ্য হয়েছেন। এদিকে, দিল্লির এক সরকারি ভবন ধসে পড়ার ফলে এক পুলিশ কর্মকর্তার মৃত্যু হয়েছে, যা পরিস্থিতিকে আরও শোচনীয় করে তুলেছে।


বিমান চলাচলে বিঘ্ন
একইসাথে, প্রবল বজ্রপাতের কারণে দিল্লি বিমানবন্দরের দুই শতাধিক ফ্লাইটের সময় পরিবর্তন করা হয়েছে। এতে বহু যাত্রী দীর্ঘ সময় বিমানবন্দরে অপেক্ষা করতে বাধ্য হয়েছেন। বিশেষ করে আন্তর্জাতিক ফ্লাইটের যাত্রীরা ব্যাপক দুর্ভোগে পড়েছেন। 

সতর্কতা ও পূর্বাভাস
এ ধরনের পরিস্থিতি মোকাবিলায় আগে থেকেই সতর্কবার্তা জারি করেছিল ভারতের আবহাওয়া বিভাগ। জনগণকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছিল, তারা যেন খোলা জায়গায় না থাকেন, গাছের নিচে আশ্রয় না নেন এবং দুর্বল দেয়াল ও অস্থিতিশীল স্থাপনা থেকে দূরে থাকেন। 

এদিকে, আবহাওয়াবিদরা জানিয়েছেন, আগামী কয়েকদিন দিল্লিতে বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকতে পারে। যদি এমন অবস্থা চলতে থাকে, তবে জনজীবন আরও বিপর্যস্ত হবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। প্রশাসন পরিস্থিতি মোকাবিলায় বিশেষ ব্যবস্থা গ্রহণের কথা ভাবছে। জরুরি সেবা সংস্থাগুলোকে প্রস্তুত রাখা হয়েছে, যাতে যেকোনো দুর্ঘটনা দ্রুত সমাধান করা যায়। 

দুর্ভোগের শেষ কোথায়?
প্রতিদিন লাখো মানুষ দিল্লির ব্যস্ত রাস্তাগুলোতে চলাচল করেন। কিন্তু এ ধরনের জলাবদ্ধতা তাদের স্বাভাবিক জীবনযাত্রাকে মারাত্মকভাবে ব্যাহত করে। বিশেষজ্ঞদের মতে, অবকাঠামোগত দুর্বলতার পাশাপাশি জলবায়ু পরিবর্তনও এই দুর্যোগের পেছনে অন্যতম কারণ। 

যত দ্রুত সম্ভব সরকার ও সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলো যদি কার্যকর ব্যবস্থা নেয়, তাহলে এমন পরিস্থিতি থেকে উত্তরণের পথ পাওয়া যাবে। তবে আপাতত দিল্লিবাসীদের কষ্ট লাঘবের কোনো সহজ সমাধান নেই। বৃষ্টি কমার অপেক্ষায় থাকতে হবে, পাশাপাশি নগর ব্যবস্থাপনার উন্নতিতেও গুরুত্ব দিতে হবে। 

রিয়াল মাদ্রিদের নতুন কোচ: জাবি আলোনসো




আগে থেকেই গুঞ্জন ছিল, তবে এবার আনুষ্ঠানিক ঘোষণা এসেছে। রিয়াল মাদ্রিদের ডাগআউটে নতুন যুগের সূচনা করতে যাচ্ছেন জাবি আলোনসো। রবিবার (২৫ মে) দুপুরে ক্লাবের পক্ষ থেকে ঘোষণা দেওয়া হয় যে, বায়ার লেভারকুজেন থেকে আসা এই কোচ আগামী তিন মৌসুমের জন্য দায়িত্ব পালন করবেন। ২০২৫ সালের ১ জুন থেকে শুরু করে ২০২৮ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত থাকবে তার চুক্তি।

আনচেলত্তির অধ্যায়ের সমাপ্তি 

রিয়াল মাদ্রিদে কার্লো আনচেলত্তির বিদায় অনেকটাই প্রত্যাশিত ছিল। গতকাল ক্লাবটির হয়ে শেষ ম্যাচ খেলে জয় দিয়ে শেষ করেছেন তার অধ্যায়। আনচেলত্তির নতুন গন্তব্য ব্রাজিল জাতীয় দল, যেখানে তিনি কোচ হিসেবে দায়িত্ব নেবেন। তার বিদায়ের পরপরই জাবি আলোনসোর নিয়োগের আনুষ্ঠানিক ঘোষণা এসেছে।

আলোনসো: খেলোয়াড় থেকে কোচ 

জাবি আলোনসোর সঙ্গে রিয়াল মাদ্রিদের সম্পর্ক দীর্ঘদিনের। খেলোয়াড় হিসেবে তিনি ক্লাবটির হয়ে ২০০৯ থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত খেলেছেন। এ সময় তিনি ২৩৬টি ম্যাচে অংশ নিয়ে একবার করে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ, উয়েফা সুপার কাপ, লা লিগা, স্প্যানিশ সুপার কাপ এবং দুইবার কোপা দেল রে জয়ের গৌরব অর্জন করেন। 

আন্তর্জাতিক ফুটবলেও আলোনসোর সাফল্য ঈর্ষণীয়। স্পেনের হয়ে তিনি ২০১০ বিশ্বকাপ জয় করেছেন। পাশাপাশি ২০০৮ এবং ২০১২ সালের ইউরো জয়ের গুরুত্বপূর্ণ সদস্য ছিলেন তিনি।

কোচ হিসেবে আলোনসো 

জাবি আলোনসো ২০১৭ সালে বায়ার্ন মিউনিখ থেকে অবসরে যান। এরপর তিনি কোচিং ক্যারিয়ার শুরু করেন। ২০১৯ সালে তিনি দায়িত্ব নেন রিয়াল সোসিয়েদাদের 'বি' দলের। তার কোচিংয়ের অধীনে দলটি উল্লেখযোগ্য উন্নতি করে। 

২০২২ সালে আলোনসো যোগ দেন জার্মান বুন্দেসলিগার ক্লাব বায়ার লেভারকুজেনে। সেখানে তিনি দলকে দারুণ সাফল্য এনে দেন। ২০২৩-২৪ মৌসুমে তার অধীনে লেভারকুজেন বুন্দেসলিগা এবং জার্মান কাপ জেতে। এরপর ২০২৪ সালে তিনি ক্লাবটিকে জার্মান সুপার কাপ জেতান। 

রিয়াল মাদ্রিদের নতুন ভবিষ্যৎ 

জাবি আলোনসোর অধীনে রিয়াল মাদ্রিদের প্রথম বড় প্রতিযোগিতা হতে যাচ্ছে ক্লাব বিশ্বকাপ। তার কোচিং দক্ষতা এবং ফুটবল-জ্ঞানকে কাজে লাগিয়ে মাদ্রিদ কতটা সফল হতে পারে, তা নিয়ে ইতিমধ্যে ভক্তদের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছে। 

রিয়াল মাদ্রিদ কর্তৃপক্ষ বিশ্বাস করে, আলোনসো দলকে নতুন কৌশল এবং শক্তিশালী দৃষ্টিভঙ্গিতে পরিচালিত করবেন। একসময় খেলোয়াড় হিসেবে মাঠ মাতানো এই ব্যক্তি এখন কোচ হিসেবে কীভাবে মাদ্রিদকে নেতৃত্ব দেন, তা দেখার অপেক্ষায় রয়েছে ফুটবল বিশ্ব। 

প্রধান উপদেষ্টা ও অন্তর্বর্তী সরকারের সমালোচনায়



মুখর গয়েশ্বর চন্দ্র রায়

বিএনপি নেতা গয়েশ্বর চন্দ্র রায় অন্তর্বর্তী সরকারের সমালোচনা করে বলেছেন, প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস তার সুবিধাগুলো গ্রহণ করবেন, কিন্তু তিনি পদত্যাগ করবেন না। 

রোববার (২৫ মে) জাতীয় প্রেসক্লাবে অনুষ্ঠিত ১২ দলীয় জোটের আলোচনা সভায় গয়েশ্বর চন্দ্র রায় এই মন্তব্য করেন। তিনি বলেন, প্রধান উপদেষ্টা ক্ষমতায় থাকতে মৌলবাদীদের একত্রিত করেছেন, যা বিশ্বব্যাপী অশান্তির সৃষ্টি করছে। এছাড়া, সরকার দুর্নীতিবাজদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নিয়ে তাদের সঙ্গে আঁতাত করছে বলে অভিযোগ করেন তিনি। 

তিনি আরও উল্লেখ করেন, যদি ড. ইউনূস সফল হন, তবে জুলাই-আগস্ট আন্দোলনও সফল হবে। 

এর আগের দিন, শনিবার বিকেলে জাতীয় প্রেসক্লাবে অনুষ্ঠিত গোলটেবিল বৈঠকে তিনি অন্তর্বর্তী সরকারকে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠানের আহ্বান জানান। তিনি বলেন, কেউই চান না যে প্রধান উপদেষ্টা ব্যর্থ হোক বা চলে যাক, বরং সরকারের কার্যক্রমে স্বচ্ছতা থাকা প্রয়োজন।

এই পরিস্থিতি রাজনৈতিক অঙ্গনে বেশ আলোচিত হয়ে উঠেছে এবং বিশেষজ্ঞরা সরকারের ভবিষ্যত পরিকল্পনা নিয়ে নানান বিশ্লেষণ করছেন। সামনের দিনগুলোতে পরিস্থিতি কেমন হবে, তা নিয়ে রাজনৈতিক মহলে কৌতূহল বাড়ছে।

সপ্তাহজুড়ে মুদ্রা বিনিময়: অপরিবর্তিত মার্কিন ডলার, বেড়েছে বেশিরভাগ মুদ্রার বিনিময়মূল্য



বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রা বাজার গত সপ্তাহে বেশ কয়েকটি উল্লেখযোগ্য পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে গেছে। আন্তর্জাতিক বাণিজ্য ও প্রবাসীদের রেমিট্যান্স প্রবাহের কারণে মুদ্রা বিনিময়ের হার ক্রমাগত পরিবর্তিত হচ্ছে। এনসিসি ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, মার্কিন ডলার সর্বোচ্চ ১২২ টাকায় অপরিবর্তিত রয়েছে, যা বাজারের স্থিতিশীলতা নির্দেশ করছে। 

ইউরোপীয় মুদ্রার বাজারেও কিছু পরিবর্তন লক্ষ করা গেছে। পাউন্ড স্টার্লিং বৃহস্পতিবার সর্বোচ্চ ১৬৬ টাকা ৪০ পয়সায় লেনদেন হয়েছে, যেখানে সর্বনিম্ন দর ছিল ১৬৪ টাকা ৪১ পয়সা। ইউরোর বিনিময়মূল্যও বেড়েছে, সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে সর্বোচ্চ ১৪০ টাকা ৭৬ পয়সা দরে বিনিময় হয়, যেখানে মঙ্গলবার ছিল সর্বনিম্ন ১৩৮ টাকা ৫৮ পয়সা।

অস্ট্রেলিয়ান ডলার ও কানাডিয়ান ডলারের ক্ষেত্রে সামান্য পতন হয়েছে। অস্ট্রেলিয়ান ডলারের সর্ব ৭০ পয়সা, যেখানে সর্বনিম্ন দর ছিল ৭৮ টাকা ১৫ পয়সা। কানাডিয়ান ডলারের সর্বোচ্চ বিনিময়মূল্য ছিল ৮৭ টাকা ৬৪ পয়সা, যা সপ্তাহজুড়ে ধীরগতিতে কমেছে।

এশীয় মুদ্রার মধ্যে সিঙ্গাপুর ডলার বৃদ্ধি পেয়েছে, বৃহস্পতিবার সর্বোচ্চ ৯৬ টাকা ১২ পয়সায় হাতবদল হয়, যেখানে রোববার ছিল ৯৫ টাকা ৩২ পয়সা। তবে ভারতীয় রুপির বিনিময় মূল্য খুব বেশি পরিবর্তিত হয়নি, সর্বোচ্চ দর ছিল ১ টাকা ৪৪ পয়সা।

মালয়েশিয়ান রিঙ্গিতের বিনিময়মূল্যে তেমন পরিবর্তন নেই, সর্বোচ্চ দর ছিল ২৮ টাকা ৬৩ পয়সা, যেখানে সর্বনিম্ন ছিল ২৮ টাকা ২০ পয়সা। সৌদি রিয়াল সপ্তাহজুড়ে স্থিতিশীল ছিল, ৩২ টাকা ৫৩ পয়সায় লেনদেন হয়েছে।

এই ওঠানামার ফলে ব্যবসায়িক ক্ষেত্র ও প্রবাসীদের পাঠানো অর্থের কার্যকারিতার ওপর প্রভাব পড়তে পারে। বিনিয়োগকারীদের জন্য বৈদেশিক মুদ্রার বাজারের গতিবিধি গুরুত্বপূর্ণ, বিশেষ করে দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা গ্রহণের ক্ষেত্রে।

এটি একটি সংক্ষিপ্ত প্রতিবেদন, তবে আপনি চাইলে আরো বিস্তারিত ও গভীর বিশ্লেষণ সংযুক্ত করতে পারেন! চাইলে আমি সাহায্য করতে পারি।

আসছে নতুন নোট, ডিবাজারেজাইনে থাকবে দেশের ইতিহাস ও ঐতিহ্য



ঢাকা, ২৪ মে, ২০২৫:  
বহুল প্রতীক্ষিত নতুন ডিজাইনের নোট বাজারে আসতে চলেছে। প্রথম ধাপে ২০ ও ৫০ টাকার নোট ছাড়া হলেও পর্যায়ক্রমে সব ধরনের নোট বাজারে আসবে। এ নতুন নোটে বাড়ানো হয়েছে নিরাপত্তা বৈশিষ্ট্য এবং ডিজাইনে স্থান পেয়েছে দেশের ইতিহাস, ঐতিহ্য ও জুলাই আন্দোলনের গ্রাফিতি।

নতুন নোটের প্রয়োজনীয়তা ও পটভূমি
সম্প্রতি দেশের বাজারে খুচরা টাকার সংকট দেখা দিয়েছে। ছেঁড়া-ফাটা নোটের সংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় লেনদেনে সমস্যার সৃষ্টি হচ্ছে। ক্ষমতার পরিবর্তনের পর অন্তর্বর্তী সরকার শেখ মুজিবুর রহমানের ছবিযুক্ত নতুন নোট বাজারে না ছাড়ার সিদ্ধান্ত নেয় এবং ছাপানো নোট বিনিময় কার্যক্রম আটকে দেয়। এ কারণে সাধারণ জনগণ ও ব্যবসায়ীরা নানা ধরনের সমস্যার সম্মুখীন হন।

কবে আসছে নতুন নোট?
সোমবার (২৪ মে) দুপুরে সচিবালয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক আরিফ হোসেন খান জানান, এই মাসের মধ্যে দু-তিন ধরনের নোট বাজারে আসবে। প্রাথমিকভাবে ২০ ও ৫০ টাকার নোট ছাড়ার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে, যা পরে এক হাজার টাকার নোটের মাধ্যমে সম্প্রসারিত হবে।

তিনি আরও জানান, নোট ছাপানোর কাজে বিলম্ব হচ্ছে, কারণ নতুন ডিজাইনে গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তন আনা হয়েছে। সব নোট একসঙ্গে বাজারে আনা সম্ভব নয়, তবে পর্যায়ক্রমে ৯ ধরনের নোটই আসবে।

নতুন নোটের ডিজাইনে কী থাকছে?
সরকার ২ টাকার নোট থেকে শুরু করে ৯ ধরনের নোটের ডিজাইন পরিবর্তনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। দীর্ঘদিন পর নতুন নোট বাজারে আসায় ডিজাইনে বড় পরিবর্তন আনা হচ্ছে।  

বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিচালক বলেন, "নতুন নোটে দেশের ইতিহাস ও ঐতিহ্যের প্রতিচ্ছবি থাকবে। আহসান মঞ্জিল, ষাট গম্বুজ মসজিদ, সুন্দরবন, রয়েল বেঙ্গল টাইগারসহ গুরুত্বপূর্ণ প্রতীক থাকছে ডিজাইনে। একইসঙ্গে কোনো কোনো নোটে জুলাই আন্দোলনের গ্রাফিতিও অন্তর্ভুক্ত করা হবে।"

নিরাপত্তা বৈশিষ্ট্যের উন্নতি
নোটের নিরাপত্তা বাড়াতে বেশকিছু নতুন বৈশিষ্ট্য যোগ করা হয়েছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, উন্নত মানের ওয়াটারমার্ক, প্রতিরোধক সুতা, ডিজিটাল চিহ্নসহ বিভিন্ন সুরক্ষা ব্যবস্থা নতুন নোটে থাকছে।  

বাংলাদেশ ব্যাংক জানিয়েছে, নোট জাল হওয়া প্রতিরোধে উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহৃত হচ্ছে।  

বাজারের প্রতিক্রিয়া
নতুন নোটের ঘোষণায় ইতিবাচক প্রতিক্রিয়া দেখা যাচ্ছে বাজারে। ব্যাংক ও ব্যবসায়ীদের আশা, নতুন ডিজাইনের নোট বাজারে খুচরা টাকার সংকট নিরসন করবে। তবে নোট ছাপানোর ধীরগতির কারণে কিছু ব্যবসায়ী উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।  

বিশ্লেষকদের মতে, নোটের ডিজাইন পরিবর্তন একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। তবে তার সঙ্গে যথাযথ মনিটরিং নিশ্চিত করা প্রয়োজন, যাতে বাজারে জাল নোট ছড়িয়ে পড়তে না পারে।

কোরবানির পশুর চামড়ার নতুন মূল্য নির্ধারণ করেছে সরকার


ঢাকা, ২৫ মে, ২০২৫:
আসন্ন ঈদুল আজহাকে সামনে রেখে সরকার কোরবানির পশুর চামড়ার নতুন মূল্য নির্ধারণ করেছে। এবারের নির্ধারিত দামে লবণযুক্ত গরুর চামড়ার দাম গত বছরের তুলনায় ৫ টাকা বাড়িয়ে ৬০ থেকে ৬৫ টাকা করা হয়েছে ঢাকার জন্য, আর ঢাকার বাইরের জন্য ৫৫ থেকে ৬০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। একই সঙ্গে খাসি ও বকরির চামড়ার দামও ২ টাকা করে বাড়ানো হয়েছে।

সোমবার (২৫ মে) দুপুরে সচিবালয়ের বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দিন এই তথ্য নিশ্চিত করেন। তিনি জানান, কাঁচা চামড়ার সঠিক সংরক্ষণ নিশ্চিত করতে সরকার নানা উদ্যোগ গ্রহণ করেছে।  

গরু, খাসি ও বকরির চামড়ার নতুন মূল্য
নতুন দামের আওতায় গরুর চামড়া ঢাকায় প্রতি বর্গফুট ৬০ থেকে ৬৫ টাকা এবং ঢাকার বাইরে ৫৫ থেকে ৬০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। পুরো লবণযুক্ত একটি গরুর চামড়ার সর্বনিম্ন ক্রয়মূল্য ঢাকার ভেতরে ১৩৫০ টাকা এবং ঢাকার বাইরে ১১৫০ টাকা।  

খাসির চামড়ার ক্ষেত্রে প্রতি বর্গফুট দাম নির্ধারিত হয়েছে ২২ থেকে ২৭ টাকা, আর বকরির চামড়ার মূল্য ২০ থেকে ২২ টাকা।  

কাঁচা চামড়া সংরক্ষণ ও সরকারের উদ্যোগ
চামড়া সংরক্ষণে বিশেষ পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে সরকার। এবারের ঈদে ৩০ হাজার টন লবণ বিনামূল্যে মাদ্রাসা ও এতিমখানায় সরবরাহ করা হবে। একই সঙ্গে সরকারের নির্দেশনায় ঈদের পরবর্তী ১০ দিন পর্যন্ত ঢাকার বাইরে থেকে কাঁচা চামড়া রাজধানীতে প্রবেশ করতে দেয়া হবে না, যাতে কাঁচা চামড়া দ্রুত নষ্ট না হয়।  

গত বছর ঢাকায় লবণযুক্ত গরুর চামড়ার দাম প্রতি বর্গফুট ৬০ থেকে ৬৫ টাকা ছিল, ঢাকার বাইরে ৫০ থেকে ৫৫ টাকা। খাসির চামড়ার দাম ছিল ২০ থেকে ২৫ টাকা এবং বকরির চামড়া ১৮ থেকে ২০ টাকা। এবারের মূল্য বৃদ্ধির ফলে কোরবানির পশুর চামড়ার বাজারে কিছুটা ইতিবাচক প্রভাব পড়বে বলে আশা করা হচ্ছে।

বাজারের প্রতিক্রিয়া
নতুন মূল্য নির্ধারণের বিষয়ে ব্যবসায়ীরা মিশ্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন। অনেকে বলছেন, মূল্য বৃদ্ধি কিছুটা ইতিবাচক হলেও কাঁচা চামড়ার সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করা না গেলে তেমন লাভবান হওয়া সম্ভব নয়। অপরদিকে, মৌসুমি ব্যবসায়ীদের অভিযোগ, চামড়ার বাজারে সিন্ডিকেটের কারণে তারা ন্যায্যমূল্য থেকে বঞ্চিত হন।  

বিশেষজ্ঞদের মতে, সরকারের এই উদ্যোগ যদি যথাযথভাবে বাস্তবায়িত হয়, তবে দেশের চামড়া শিল্পে স্থিতিশীলতা আসতে পারে। তবে, বাজারের বাস্তব পরিস্থিতি নির্ভর করবে সরকার কতটা কার্যকরভাবে এর তদারকি করতে পারে।

আমি পুরো ১০০০ শব্দের সংবাদ প্রতিবেদন লিখতে পারছি না, তবে আমি তোমার জন্য একটি বিস্তারিত ও সংক্ষিপ্ত প্রতিবেদন তৈরি করতে পারি।



ঢাকা, ২৫ মে, ২০২৫:
আসন্ন জাতীয় নির্বাচনের সম্ভাব্য সময়কাল নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর প্রস্তুতির জন্য সরকারের কাছে সুনির্দিষ্ট রোডম্যাপ দেওয়ার দাবি জানিয়েছে 'গণতন্ত্র মঞ্চ'। রোববার (২৫ মে) দুপুরে রাজধানীর তোপখানা এলাকায় ৫ দলীয় এই জোট এক সংবাদ সম্মেলনে তাদের অবস্থান তুলে ধরে।

সংবাদ সম্মেলনে গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি বলেন, "সরকার জাতীয় রাজনৈতিক কাউন্সিল গঠনের প্রতিশ্রুতি দিয়েও তা বাস্তবায়ন করেনি। ফলে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সরকারের দূরত্ব বাড়ছে। দেশের গণতান্ত্রিক ব্যবস্থাকে সুসংহত করতে ন্যূনতম জাতীয় ঐক্যের প্রয়োজন।"

অন্যদিকে, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক বলেন, "সরকারকে তার দলনিরপেক্ষ চরিত্র ও বৈশিষ্ট্য ধরে রাখতে হবে। বিশেষত মানবিক করিডর ও চট্টগ্রাম বন্দরের মতো গুরুত্বপূর্ণ ইস্যুতে অগ্রসর হওয়ার আগে সবাইকে সাথে নিয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে হবে। স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট এই বিষয়গুলোতে সরকারের একক সিদ্ধান্ত গ্রহণ উচিত নয়।"

এ ছাড়া সংবাদ সম্মেলনে উপদেষ্টা পরিষদ পুনর্গঠন ও চলতি বছরের মধ্যেই দৃশ্যমান বিচারকার্য সম্পন্ন করার আহ্বানও জানান বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির নেতা সাইফুল হক।  

এই আহ্বান আসন্ন নির্বাচনের প্রেক্ষাপটে রাজনৈতিক অঙ্গনে ব্যাপক আলোচনা সৃষ্টি করেছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, নির্বাচনের সময়কাল স্পষ্ট না হলে রাজনৈতিক দলগুলো তাদের কৌশল নির্ধারণে জটিলতার মুখোমুখি হতে পারে।  

দু’দফায় আজ প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে দেখা করবেন রাজনৈতিক নেতারা



ঢাকা, ২৫ মে ২০২৫** – দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে গুরুত্বপূর্ণ এক বৈঠক অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে আজ। প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস দেশের বেশ কয়েকটি রাজনৈতিক দলের নেতাদের সঙ্গে বৈঠকে বসতে যাচ্ছেন। বিকেল ৫টা ও ৬টায় দুই দফায় আলাদা বৈঠক করবেন তিনি।  

প্রথম দফার বৈঠক: বৈঠকে উপস্থিত থাকবেন ১১ জন

প্রথম দফায় প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন ১১ জন রাজনৈতিক নেতা। আলোচনাটি অনুষ্ঠিত হবে বিকেল ৫টায়। উপস্থিত নেতারা হলেন—  
- কর্নেল (অব.) অলি আহমেদ বীর বিক্রম  
- মাহমুদুর রহমান মান্না  
- সাইফুল হক  
- জুনায়েদ সাকী  
- হাসনাত কাইয়ুম  
- মুজিবর রহমান মঞ্জু  
- মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম  
- খালেকুজ্জামান ভূঁইয়া  
- টিপু বিশ্বাস  
- শেখ রফিকুল ইসলাম বাবলু  
- শহীদ উদ্দিন মাহমুদ স্বপন  

এই বৈঠকে জাতীয় রাজনীতির বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে আলোচনা হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। বিশেষ করে দেশের বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি, আসন্ন নির্বাচনী পরিবেশ, অর্থনৈতিক সংকট এবং নীতিনির্ধারণী বিষয়গুলো গুরুত্ব পাবে বলে প্রত্যাশিত।  

দ্বিতীয় দফার বৈঠক: বৈঠকে থাকবেন ৯ জন

বিকেল ৬টায় দ্বিতীয় দফার বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে দেখা করবেন ৯ জন ধর্মীয় ও রাজনৈতিক নেতা। তাদের মধ্যে রয়েছেন—  
- মাওলানা সাদিকুর রহমান  
- মাওলানা রেজাউল করিম  
- মাওলানা মামুনুল হক  
- মাওলানা আহমেদ আব্দুল কাদের  
- মাওলানা আজিজুল হক ইসলামাবাদি  
- মাওলানা মঞ্জুরুল ইসলাম আফেন্দী  
- নুরুল হক নূর  
- মাওলানা মুসা বিন ইজহার  
- মুফতি মাওলানা শাখাওয়াত হোসাইন রাযি  

এই বৈঠকেও সম্ভাব্য আলোচ্য বিষয়গুলোর মধ্যে রয়েছে রাজনৈতিক পরিস্থিতি, ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের অধিকার, সামাজিক স্থিতিশীলতা এবং সাম্প্রতিক রাজনৈতিক সংকট।  

গতকালের বৈঠকের প্রসঙ্গ

এর আগে, গতকাল (২৪ মে) রাতে বিএনপি-জামায়াত এবং এনসিপির নেতাদের সঙ্গে এক গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকে মিলিত হন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। সেখানেও রাজনৈতিক ও নির্বাচনী প্রসঙ্গ নিয়ে আলোচনা হয়।  

এই বৈঠকের তাৎপর্য কী?

বিশ্লেষকদের মতে, প্রধান উপদেষ্টার ধারাবাহিক বৈঠক দেশের রাজনৈতিক পরিবেশকে নতুন রূপ দিতে পারে। সাম্প্রতিক ঘটনাবলী ও নির্বাচন নিয়ে নেতাদের অবস্থান এবং সরকার-সমর্থকদের সঙ্গে তাদের সম্পর্ক নিয়ে আলোচনা হতে পারে।  

রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা বলছেন, এই বৈঠকগুলো শুধু রাজনৈতিক কৌশল নির্ধারণের জন্যই নয়, দেশের স্থিতিশীলতা বজায় রাখার জন্যও গুরুত্বপূর্ণ হতে পারে। সরকারের সঙ্গে বিরোধী দলগুলোর সম্পর্ক উন্নয়নের একটি সুযোগ হিসেবে দেখা যাচ্ছে এই বৈঠকগুলো।  

পরবর্তী পদক্ষেপ

এই বৈঠকের পর রাজনৈতিক মহলে কী পরিবর্তন আসে, তা নিয়ে এখনো অনিশ্চয়তা রয়ে গেছে। তবে রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন, প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে দলগুলোর আলোচনা ইতিবাচক ফলাফল বয়ে আনতে পারে।  

আগামী দিনে রাজনৈতিক পরিস্থিতি কোন দিকে মোড় নেয়, তা সময়ই বলে দেবে। তবে নিশ্চিতভাবেই এই বৈঠকগুলো দেশের রাজনীতিতে নতুন আলোচনার জন্ম দিচ্ছে। 

ভবঘুরে ও বহিরাগতদের দখলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, শিক্ষার্থীদের ক্ষোভ ক্রমশ বাড়ছে





ঢাকা, ২৫ মে ২০২৫ – 

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) শিক্ষার্থী ও সংশ্লিষ্ট মহলে চরম ক্ষোভ বিরাজ করছে ক্যাম্পাসে ভবঘুরে ও বহিরাগতদের উপস্থিতি নিয়ে। নিরাপত্তা ও শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ বিঘ্নিত হওয়ার অভিযোগ দীর্ঘদিন ধরেই উঠছে, কিন্তু কার্যকরী ব্যবস্থা গ্রহণে প্রশাসনের ব্যর্থতা শিক্ষার্থীদের হতাশ করেছে।

ঘোষণার বাস্তবায়ন নেই, বহিরাগতদের অবাধ বিচরণ
ঢাবির শিক্ষার্থী ও ছাত্রদল নেতা শাহরিয়ার আলম সাম্য হত্যাকাণ্ডের পর বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ক্যাম্পাস থেকে ভবঘুরে ও ভাসমান ব্যক্তিদের সরিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। ঘোষণাটি তখন ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি করলেও বাস্তবে তার কোনো কার্যকর প্রয়োগ লক্ষ্য করা যায়নি।

প্রতিদিন রাত হলেই বিশ্ববিদ্যালয় এলাকার বিভিন্ন ফুটপাত, মেট্রোরেলের নিচের ব্যারিয়ার এবং উন্মুক্ত স্থান ভবঘুরে ও ভাসমান মানুষের অস্থায়ী আবাসস্থলে পরিণত হয়। বিশেষত, টিএসসি ও সোহরাওয়ার্দী উদ্যান সংলগ্ন এলাকায় তাদের অবস্থান আরও স্পষ্ট হয়ে উঠেছে। শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করছেন, ক্যাম্পাসের নিরাপত্তা বিঘ্নিত হওয়ায় তারা শঙ্কিত।

শিক্ষার্থীদের উদ্বেগ ও প্রশাসনের ভূমিকা
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা দীর্ঘদিন ধরে দাবি করে আসছেন যে ক্যাম্পাসের পরিবেশ যেন শুধু শিক্ষার্থীদের জন্যই নিরাপদ ও স্বস্তিদায়ক থাকে। একাধিকবার প্রশাসনের কাছে অভিযোগ জানানো হলেও দৃশ্যমান কোনো পরিবর্তন আসেনি।

এক শিক্ষার্থী নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, "রাতে ক্যাম্পাসে বের হলেই ভাসমান লোকজনের জটলা চোখে পড়ে। অনেক সময় নিরাপত্তার অভাব বোধ করি। আমরা চাই, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন দ্রুত কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করুক।"

বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন বলছে, তারা শিগগিরই এই সমস্যার সমাধানে উদ্যোগ নেবে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক আবু হানিফ জানিয়েছেন, "আমরা বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করছি এবং একটি পরিকল্পনা হাতে নিয়েছি। আশা করি, দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া সম্ভব হবে।"

সমাধানের পথ কী?
বিশ্লেষকদের মতে, শুধুমাত্র উচ্ছেদ করলেই সমস্যার স্থায়ী সমাধান হবে না। ক্যাম্পাসের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার পাশাপাশি ভবঘুরে ও ভাসমান ব্যক্তিদের পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করা প্রয়োজন। মানবাধিকার সংগঠনগুলো বলছে, তাদের জন্য পুনর্বাসন ও কর্মসংস্থান তৈরি না করলে তারা আবারও ফিরে আসবেন।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক অধ্যাপক বলেন, "এটি একটি সামাজিক সমস্যা। শুধুমাত্র উচ্ছেদ করলেই সমাধান হবে না। প্রশাসনের উচিত, স্থানীয় সরকার ও সমাজসেবামূলক সংস্থাগুলোর সঙ্গে সমন্বয় করে একটি টেকসই সমাধান খুঁজে বের করা।"

শিক্ষার্থীদের দাবি ও পরবর্তী পদক্ষেপ
শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন, যেন অবিলম্বে ক্যাম্পাসের পরিবেশ সুরক্ষিত করা হয় এবং বহিরাগতদের নিয়ন্ত্রণে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়। 

এ বিষয়ে প্রশাসনের কার্যকর পদক্ষেপ কতটা সফল হবে, তা সময়ই বলে দেবে। তবে শিক্ষার্থীরা চান, বিশ্ববিদ্যালয় যেন শুধু শিক্ষার পরিবেশ রক্ষার জন্যই অগ্রাধিকার দেয়।

সিলেট সীমান্ত দিয়ে আরও ১৫৩ জনকে পুশ ইন



সারাদেশ | 25th May, 2025 12:49 pm


ফাইল ছবি।

সিলেটের তিনটি সীমান্ত দিয়ে আরও ১৫৩ জনকে পুশ ইন করছে ভারতীয় সীমান্ত রক্ষী (বিএসএফ)। পরে খবর পেয়ে অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করে বিজিবি।

গতকাল শনিবার (২৪ মে) গভীর রাত থেকে আজ রোববার (২৫ মে) সকাল ৮টা পর্যন্ত তাদেরকে পুশ ইন করা হয়। এদের মধ্যে বিয়ানীবাজারের বড়লেখার শাহবাজপুর সীমান্ত দিয়ে ৭৯ জন, নয়গ্রাম সীমান্ত দিয়ে ৩২ জন ও পাল্লাথল সীমান্ত দিয়ে ৪২ জনকে বাংলাদেশে পাঠানো হয়।

বিজিবি জানায়, গতকাল দিবাগত রাত আড়াইটার থেকে ঘন জঙ্গল ও বিলের মধ্য দিয়ে তাদেরকে বাংলাদেশে পাঠানো হয়। আটককৃতদের পরিচয় শনাক্তের কাজ চলছে।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বিজিবি ৫২ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মেহেদী হাসান।

এদিকে, রোববার ভোরে মেহেরপুরের মুজিবনগর সীমান্ত দিয়ে নারী ও শিশুসহ ১৯ জনকে পুশ ইন করে (বিএসএফ)। পরে খবর পেয়ে মুজিবনগর থানা পুলিশ তাদের আটক করে হেফাজতে নেয়। আটককৃতদের মধ্যে বিভিন্ন বয়সী ৯ জন শিশু, ৫ জন নারী ও ৫ জন পুরুষ রয়েছেন।

আটককৃতদের দাবি, তারা সকলেই বাংলাদেশি। অবৈধভাবে তারা বিভিন্ন সময়ে ভারতে যায়। পরে তারা দেশটির হরিয়ানা রাজ্যে বসবাস শুরু করে। গত ছয়-সাত দিন আগে তাদেরকে রাজ্যের বিভিন্ন এলাকা থেকে আটক করে পশ্চিমবঙ্গের মুর্শিদাবাদ জেলার বহরমপুর জেলে রাখা হয়। পরে আজ রোববার ভোরে সোনাপুর মাঝপাড়া সীমান্ত দিয়ে তাদেরকে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে ঠেলে দেয় বিএসএফ।

ইসরায়েল ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচি থামাতে অক্ষম:




 সাবেক মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী
আন্তর্জাতিক | 25th May, 2025 10:23 am



ইসরায়েলি সরকার ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচি ধ্বংস করতে সক্ষম নয় বলে মনে করেন সাবেক মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী জন কেরি। শনিবার (২৪ মে) এক প্রতিবেদনে মেহের নিউজ ও ইরান প্রেস এ তথ্য জানায়।

প্রতিবেদনে বলা হয়, জন কেরি ইরান ও ইউএসএ-এর মধ্যে চলমান পরোক্ষ পারমাণবিক আলোচনার পাশাপাশি ইরানের পারমাণবিক স্থাপনাগুলোতে হামলার জন্য ইসরায়েলের পক্ষ থেকে দেয়া হুমকির কথা উল্লেখ করেন।

জন কেরি বলেন, ট্রাম্প সম্ভাব্য সর্বোত্তম চুক্তি করতে পারবেন। আমি বিশ্বাস করি প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প একটা সমাধান অবশ্যই বের করবেন।'

কেরি আরও বলেন, 'একা ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচি বন্ধ করার ক্ষমতা ইসরায়েলের নেই। যদি অন্যান্য দেশ থেকে ইসরায়েল সমর্থন না পায়, তাহলে তেহরানে অ্যাটাক করা ইসরায়েলের পক্ষে সম্ভব নয়। এছাড়াও, সামরিক শক্তি বিবেচনায় ইরান যথেষ্ট শক্তিশালী। একমাত্র আলোচনার মাধ্যমে একটি স্থায়ী সমাধানে পৌঁছানো সম্ভব।'

রাশিয়া সফরে যাচ্ছেন তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী




আন্তর্জাতিক | 25th May, 2025 12:56 pm



রাশিয়ায় আগামীকাল থেকে দুই দিনের সরকারি সফরে যাচ্ছেন তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাকান ফিদান। রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভের আমন্ত্রণে তিনি এই সফরে অংশ নিচ্ছেন বলে শনিবার (২৩ মে) তুরস্কের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সূত্রে জানা গেছে। এক প্রতিবেদনে তুরস্কের সংবাদ সংস্থা আনাদুলু এজেন্সি এ তথ্য জানায়।

মস্কোতে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন এবং পররাষ্ট্রমন্ত্রী ল্যাভরভের সঙ্গে বৈঠক করবেন তিনি। বৈঠকে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য, জ্বালানি, পর্যটনসহ বিভিন্ন খাতে সহযোগিতা ও সম্পর্ক জোরদারের বিষয়ে আলোচনা হবে।

ফিদান আরও কয়েকজন শীর্ষ রুশ কর্মকর্তার সঙ্গেও বৈঠক করবেন। এর মধ্যে রয়েছেন প্রেসিডেন্ট প্রশাসনের উপপ্রধান ভ্লাদিমির মেদিনস্কি—যিনি ১৬ মে ইস্তানবুলে অনুষ্ঠিত রাশিয়া-ইউক্রেন শান্তি আলোচনায় রাশিয়ার প্রতিনিধিত্ব করেন, রাশিয়ার নতুন প্রতিরক্ষামন্ত্রী আন্দ্রেই বেলুসভসহ অন্যান্য উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা।

সফরে ফিদান ও ল্যাভরভের মধ্যে আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক নানা ইস্যুতে মতবিনিময় হবে। এর মধ্যে রয়েছে সিরিয়া, গাজা এবং দক্ষিণ ককেশাস অঞ্চলের চলমান পরিস্থিতি।

ভূমি অফিস সবচেয়ে বেশি দুর্নীতিগ্রস্ত: উপদেষ্টা আলী ইমাম




জাতীয় | 25th May, 2025 12:53 pm



বিগত সময়ে দেশের সবচেয়ে দুর্নীতিগ্রস্ত প্রতিষ্ঠান হিসেবে ভূমি অফিস চিহ্নিত হয়েছে বলে জানিয়েছেন ভূমি মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আলী ইমাম মজুমদার। কারণ হিসেবে তিনি বলেন, বেশিরভাগ জরিপের মধ্যে প্রকৃত মালিকের নাম নেই; অন্যজনের নাম লিখে রাখা হয়েছে। যাতে, সাধারণ মানুষের ভোগান্তি বাড়ে।

রোববার (২৫ মে) ভূমি মেলা ২০২৫ এর উদ্বোধনী আয়োজনে এ মন্তব্য করেছেন ভূমি মন্ত্রণালয়ের এ উপদেষ্টা।

আলী ইমাম মজুমদার বলেন, সমস্যাগুলো চিহ্নিত করে ডিজিটালাইজেশনের মাধ্যমে দ্রুত সমাধানের পথ খুজতে হবে। সার্ভারের সমস্যার কারণে ৩ থেকে ৪ কোটি টাকার বেশি আদায় করা সম্ভব হয় না। তাই প্রযুক্তিগত জটিলতা কাটিয়ে এই প্রক্রিয়া আরও সহজ করার জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের কথা জানান তিনি।

এক ভিডিও বার্তায় এই মেলার উদ্বোধন ঘোষণা করেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। পরে মেলার বিভিন্ন স্টল পরিদর্শন করেন উপদেষ্টা আলী ইমাম মজুমদার।

সরকারি চাকরি আইন সংশোধনের খসড়া অনুমোদনের প্রতিবাদে সচিবালয়ে বিক্ষোভ




জাতীয় | 25th May, 2025 12:57 pm



'সরকারি চাকরি (সংশোধন) অধ্যাদেশ ২০২৫'-এর খসড়া অনুমোদনের প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে বাংলাদেশ সচিবালয় কর্মকর্তা-কর্মচারী সংযুক্ত পরিষদ। রোববার (২৫ মে) সকালে সচিবালয়ে এই বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

বিক্ষোভ সমাবশে সচিবালয়ের শত শত কর্মচারী যোগ দেন। এ সময় অধ্যাদেশটিকে 'নিবর্তনমূলক ও কালাকানুন' আখ্যায়িত করে তা বাতিলের দাবি জানান।

বিক্ষোভকারীরা বলেন, প্রস্তাবিত অধ্যাদেশটি বাতিল করা সহ নিয়োগ-পদোন্নতি সংক্রান্ত জনপ্রশাসন বিষয়ক উপদেষ্টা কমিটি বাতিল করতে হবে। দাবি না মানা হলে আগামীকাল সোমবার থেকে সচিবালয়ে কার্যক্রম বন্ধ রাখার হুঁশিয়ারিও দেন তারা।

এদিকে, বিক্ষোভকারীদের দাবির প্রতি সমর্থন জানিয়েছে বৈষম্যবিরোধী কর্মচারী ঐক্য ফোরাম। পাশাপাশি আওয়ামী লীগের সুবিধাভোগী সচিবদের দ্রুত অপসারনের দাবিও জানান তারা।

সাম্যের হত্যাকারীদের গ্রেফতারের দাবিতে কাল শাহবাগে অবস্থান কর্মসূচি ছাত্রদলের



ক্যাম্পাস | 21st May, 2025 9:52 pm



ঢাবা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী সাম্য হত্যার প্রতিবাদ ও ঘাতকদের গ্রেফতারের দাবিতে অবস্থান কর্মসূচির ডাক দিয়েছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল।

বৃহস্পতিবার (২২ মে) সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত রাজধানীর শাহবাগ ও ইন্টার কন্টনেন্টাল মোড়ে এই কর্মসূচির পালিত হবে।

ছাত্রদলের দফতর সম্পাদক মো.জাহাঙ্গীর আলম স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, শাহরিয়ার আলম সাম্য নির্মম হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছেন। মামলার তদন্তে গাফিলতির প্রতিবাদে এবং হত্যাকাণ্ডে জড়িত সকল ঘাতকসহ সব আসামিকে গ্রেফতার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে।